রোজাবস্থায় কেন বার বার- রোজাবস্থায় কেন বার বার দোয়া পড়বেন এবং কোন ছোট্ট দোয়াটি বেশি বেশি পড়বেন!? রোজাবস্থায় দোয়া কবুল হয়। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না (বিফলে যায় না)।
তাদের একজন হলেন- রোজাদার ব্যক্তি। অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ইফতারের আগ পর্যন্ত তার দোয়া কবুল হয়। আরেক বর্ণনায় এসেছে ইফতাদের সময় দোয়া কবুল হয়। সুতরাং রোজাদার ব্যক্তির উচিত দিনভার সময়-সুযোগমতো আল্লাহর নিকট দোয়া করতে থাকা।
সাধারণত: দোয়ার নিয়ম হলো- একাকী দোয়া করা। পবিত্র অবস্থায় দোয়া করা উত্তম হলেও অজু না থাকলেও দোয়া করা যায়। এমনকি হাত না তুলে মনে মনে কিংবা মুখে বান্দা নিজের সব কামনা-বাসনার কথা আল্লাহর কাছে বলতে পারেন।
তবে দোয়ার ক্ষেত্রে সবচে’ লক্ষণীয় বিষয় হলো- হারাম ভক্ষণকারীর দোয়া কবুল হয় না। তাই দোয়া কবুলের অন্যতম শর্ত- হালাল উপার্জন ও ভক্ষণের ব্যপারে সচেষ্ট থাকা। কল্যাণের মাস রমজানে দিনের যেকোনো সময়ের দোয়ার চেয়ে ইফতারপূর্ব মুহূর্তটি নানা কারণে দোয়ার জন্য আদর্শ সময়।
অথচ তখন রকমারী ইফতার আয়োজনে আমরা এতটাই ব্যতিব্যস্ত থাকি, আজান পর্যন্ত আর নিরবে কিছু সময় আল্লাহর নিকট দোয়া ও জিকির-আজকারে মাশগুল থাকার ফুরসৎ হয় না। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
ইফতারের সময় নিরবে আল্লাহর নিকট দোয়া করতে থাকা। ইফতারের আগে সাধারণ দোয়ার পাশাপাশি ইফতার করার পর হাদিসে বর্ণিত ইফতারের নির্দিষ্ট দোয়া পড়া সুন্নত।
এ বিষয়ে “বেশতো ডট কমে” সৌদি আরবের প্রিচার অ্যান্ড ট্রান্সলেটর, পশ্চিম দাম্মাম ইসলামি সেন্টারের এক লেখক বলেনঃ
আমি কিছু দোয়া/জিকির এর বিষয় বলবো যার রেফ: হাদিস এই মুহূর্তে দিতে পারবোনালঃ তিথি মনি: পবিত্র মাহে রমাদান আমাদের জন্য একটি বিশেষ রহমত ও দোআ কবুলের মাস! তাই আমি হাদিস উল্লেখ না করে তিনটি দোআ/জিকিরের বিষয় আপনাকে বলবো-
১) লাইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই), এই জিকিরটি আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় একটি জিকির যা আপনি সর্বাবস্থায় (একমাত্র শর্ত হলো শরীর পাক থাকা) আমল করতে পারেন! হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে এই জিকির যে করবে তার সমস্ত গুনাহ আল্লাহ রাবুল আলামিন ক্ষমা করে দিবেন! তবে জিকির করার পূর্বে মনে মনে নিয়ত করা আবশ্যক!
এই জিকিরের একটা বিশেষ ধরণের ফযীলতের বিষয় সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি-
এই জিকির কেউ যখন করেন তখন এটি ১ম থেকে ৬ষ্ঠ আসমান ভেদ করে ৭ম আসমানে আরশে আযীমের সামনে গিয়ে কাঁপতে থাকলে মহান রাব্বুল আলামিন এই কালিমাকে স্থির হতে বললে-
জবাবে এই কালিমা বলেন না আমিতো থামতে পারবোনা, কারণ অমুক বান্দা/বান্দি আমায় জিকির করছে তাকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত আমি স্থির হতে পারছিনা। জবাবে মহান রাব্বুল আলামিন বলবেন-
ওহ এই কথা, আমার বান্দা/বান্দি যখন এই কালিমা জিকির করার নিয়ত করেছে তখনি আমি তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছি! এর পরই এই কালিমা স্থির হবে! সুবহানাল্লাহ ।
দোয়া ইউনুস এর রয়েছে আলাদা তাৎপর্য! এটাও দুনিয়া ও আখেরাতের সুখ সম্মৃদ্ধি চেয়ে ফরজ নামাজের পরে এমনকি সেজদার তাসবীর পরে ৩ বার পড়ার ফজিলত অনেক তাৎপর্যপূর্ণ । কোন কোন হাদিসে আছে যে কোন নিয়ত করে এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তা কবুল করেন!
তৃতীয়ত: কোন ব্যাক্তি যদি প্রতি ফরজ নামাজে যেকোন একটি সেজদার তাসবীহ শেষ করে নিয়ত সহকারে রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাহ ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ ওয়াকিনা আজাবান্নার নার ৩ বার পড়ে-
তাহলে আল্লাহ তার ইহকাল এবং পরকালের সর্বরকমের সুখ শান্তির ব্যবস্থা করবেন ! তবে নেট থেকে নেয়া উত্তরের উপরি অংশে বর্ণিত শর্ত সমস্ত দোয়া কবুলের শর্ত সঠিক থাকতে হবে। আমি খুবই অসুস্থ, আমার ডায়াবেটিস এবং দুইটি কিডনিই ক্ষতিগ্রস্থ, যা এখন ৫টি স্তরের মাঝে 3rd স্টেজে আছে।
সাথে রয়েছে আনুষঙ্গিক অনেক জটিলতা, যার ফলে এবারের রোজা আমি রাখতে পারছিনা। জানিনা, ভবিষ্যতে আর রোজা আদায় করতে পারবো কিনা, এই উত্তরের মাধ্যমে সমস্ত বেশতবাসী মুসলিম ভাই বোনদের কাছে এই পবিত্র মাসে আমি আমার জন্য দোআ খায়ের করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি!
জানতে অজান্তে কাউকে কোন কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি! সবাই ভালো থাকবেন, সবার রোজা এবং যাবতীয় ইবাদত বন্দেগী মহান রাব্বুল আলামিন কবুল করুক এই দোআ করে শেষ করছি !ধন্যবাদ সবাইকে।
তাদের একজন হলেন- রোজাদার ব্যক্তি। অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ইফতারের আগ পর্যন্ত তার দোয়া কবুল হয়। আরেক বর্ণনায় এসেছে ইফতাদের সময় দোয়া কবুল হয়। সুতরাং রোজাদার ব্যক্তির উচিত দিনভার সময়-সুযোগমতো আল্লাহর নিকট দোয়া করতে থাকা।
সাধারণত: দোয়ার নিয়ম হলো- একাকী দোয়া করা। পবিত্র অবস্থায় দোয়া করা উত্তম হলেও অজু না থাকলেও দোয়া করা যায়। এমনকি হাত না তুলে মনে মনে কিংবা মুখে বান্দা নিজের সব কামনা-বাসনার কথা আল্লাহর কাছে বলতে পারেন।
তবে দোয়ার ক্ষেত্রে সবচে’ লক্ষণীয় বিষয় হলো- হারাম ভক্ষণকারীর দোয়া কবুল হয় না। তাই দোয়া কবুলের অন্যতম শর্ত- হালাল উপার্জন ও ভক্ষণের ব্যপারে সচেষ্ট থাকা। কল্যাণের মাস রমজানে দিনের যেকোনো সময়ের দোয়ার চেয়ে ইফতারপূর্ব মুহূর্তটি নানা কারণে দোয়ার জন্য আদর্শ সময়।
অথচ তখন রকমারী ইফতার আয়োজনে আমরা এতটাই ব্যতিব্যস্ত থাকি, আজান পর্যন্ত আর নিরবে কিছু সময় আল্লাহর নিকট দোয়া ও জিকির-আজকারে মাশগুল থাকার ফুরসৎ হয় না। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
ইফতারের সময় নিরবে আল্লাহর নিকট দোয়া করতে থাকা। ইফতারের আগে সাধারণ দোয়ার পাশাপাশি ইফতার করার পর হাদিসে বর্ণিত ইফতারের নির্দিষ্ট দোয়া পড়া সুন্নত।
এ বিষয়ে “বেশতো ডট কমে” সৌদি আরবের প্রিচার অ্যান্ড ট্রান্সলেটর, পশ্চিম দাম্মাম ইসলামি সেন্টারের এক লেখক বলেনঃ
আমি কিছু দোয়া/জিকির এর বিষয় বলবো যার রেফ: হাদিস এই মুহূর্তে দিতে পারবোনালঃ তিথি মনি: পবিত্র মাহে রমাদান আমাদের জন্য একটি বিশেষ রহমত ও দোআ কবুলের মাস! তাই আমি হাদিস উল্লেখ না করে তিনটি দোআ/জিকিরের বিষয় আপনাকে বলবো-
১) লাইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই), এই জিকিরটি আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় একটি জিকির যা আপনি সর্বাবস্থায় (একমাত্র শর্ত হলো শরীর পাক থাকা) আমল করতে পারেন! হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে এই জিকির যে করবে তার সমস্ত গুনাহ আল্লাহ রাবুল আলামিন ক্ষমা করে দিবেন! তবে জিকির করার পূর্বে মনে মনে নিয়ত করা আবশ্যক!
এই জিকিরের একটা বিশেষ ধরণের ফযীলতের বিষয় সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি-
এই জিকির কেউ যখন করেন তখন এটি ১ম থেকে ৬ষ্ঠ আসমান ভেদ করে ৭ম আসমানে আরশে আযীমের সামনে গিয়ে কাঁপতে থাকলে মহান রাব্বুল আলামিন এই কালিমাকে স্থির হতে বললে-
জবাবে এই কালিমা বলেন না আমিতো থামতে পারবোনা, কারণ অমুক বান্দা/বান্দি আমায় জিকির করছে তাকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত আমি স্থির হতে পারছিনা। জবাবে মহান রাব্বুল আলামিন বলবেন-
ওহ এই কথা, আমার বান্দা/বান্দি যখন এই কালিমা জিকির করার নিয়ত করেছে তখনি আমি তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছি! এর পরই এই কালিমা স্থির হবে! সুবহানাল্লাহ ।
দোয়া ইউনুস এর রয়েছে আলাদা তাৎপর্য! এটাও দুনিয়া ও আখেরাতের সুখ সম্মৃদ্ধি চেয়ে ফরজ নামাজের পরে এমনকি সেজদার তাসবীর পরে ৩ বার পড়ার ফজিলত অনেক তাৎপর্যপূর্ণ । কোন কোন হাদিসে আছে যে কোন নিয়ত করে এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তা কবুল করেন!
তৃতীয়ত: কোন ব্যাক্তি যদি প্রতি ফরজ নামাজে যেকোন একটি সেজদার তাসবীহ শেষ করে নিয়ত সহকারে রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাহ ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ ওয়াকিনা আজাবান্নার নার ৩ বার পড়ে-
তাহলে আল্লাহ তার ইহকাল এবং পরকালের সর্বরকমের সুখ শান্তির ব্যবস্থা করবেন ! তবে নেট থেকে নেয়া উত্তরের উপরি অংশে বর্ণিত শর্ত সমস্ত দোয়া কবুলের শর্ত সঠিক থাকতে হবে। আমি খুবই অসুস্থ, আমার ডায়াবেটিস এবং দুইটি কিডনিই ক্ষতিগ্রস্থ, যা এখন ৫টি স্তরের মাঝে 3rd স্টেজে আছে।
সাথে রয়েছে আনুষঙ্গিক অনেক জটিলতা, যার ফলে এবারের রোজা আমি রাখতে পারছিনা। জানিনা, ভবিষ্যতে আর রোজা আদায় করতে পারবো কিনা, এই উত্তরের মাধ্যমে সমস্ত বেশতবাসী মুসলিম ভাই বোনদের কাছে এই পবিত্র মাসে আমি আমার জন্য দোআ খায়ের করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি!
জানতে অজান্তে কাউকে কোন কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি! সবাই ভালো থাকবেন, সবার রোজা এবং যাবতীয় ইবাদত বন্দেগী মহান রাব্বুল আলামিন কবুল করুক এই দোআ করে শেষ করছি !ধন্যবাদ সবাইকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন