আপাতদৃষ্টিতে মনে হতেই পারে, সহবাসরে ক্ষেত্রে নারীর কাছে পুরুষাঙ্গের আকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু গবেষণার পর এ ধারণার সঙ্গে একমত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তারা জানাচ্ছেন, এ
ক্ষেত্রে নারী কি চায় পুরুষের কাছে।সুইজারল্যান্ডের এক দল গবেষকের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ‘জার্নাল অব সহবাসরে মেডিসিন’-এ। তারা ১০৫ জন নারীর ওপর জরিপ চালান।
দেখা গেছে, সহবাসে তাদের কাছে পুরুষাঙ্গের আকার সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে বিবেচিত হয়েছে।গবেষকরা জানান, জন্মের সময় ছেলেদের ০.৩-০.৫ শতাংশ ত্রুটিপূর্ণ পুরুষাঙ্গ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
জন্মের প্রথম বছরের মধ্যে সার্জারির মাধ্যমে তা ভালোও করা যায়।৪ থেকে ৬ ইঞ্চি হচ্ছে বেশিরভাগ পুরুষের উত্তেজিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য। এর চেয়ে ছোট হলে সহবাসের কোন কোন আসনে সহবাসে লিঙ্গ চালনা কঠিন হতে পারে। বেশি বড় হলেও আবার সঙ্গিনী ব্যাথা পেতে পারে।
পুরুষের লিবিডো বা কামচেতনা এবং সহবাস ক্ষমতা আনুপাতিক—এ এক বহুপ্রচলিত বিশ্বাস। এই বিশ্বাসকে যারা ব্যাখ্যা করে তারা বলে বেড়ায় যে পুরুষাঙ্গের আকার যত বড় হবে সহবাস প্রেরণাও ততই বাড়বে। একইভাবে লিঙ্গোত্থান ঘটানো ও তা বজায় রাখাও পুরুষাঙ্গের বর্ধিত আকারের ওপর নির্ভরশীল।কোন ব্যক্তি কি পরিমাণ সহবাস প্রেরণায় অধিকারী মনস্তাত্ত্বিক পরিভাষায় তা বর্ণনা করতে লিবিডো শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
সহবাস প্রেরপণা হল বংশপরস্পরায় প্রাপ্ত যাবতীয় সহজাত অনুভূতি, হরমোন বা গ্রন্থি নিঃসরণ সংস্ক্রান্ত যাবতীয় তাগিদ এবং চেতন ও অচেতন নির্বিশেষে সবরকম মানসিক অনভূতির এক জটিল সংমিশ্রণ। এইসব উপাদানের প্রত্যেকটিই লিবিডোর ওপর পুরুষাঙ্গের আকারের কোনও প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেই।
জরিপে অংশ নেওয়া ১৬-৪৫ বছর বয়সী নারীদের কাছে পুরুষাঙ্গের স্বাভাবিক চেহারাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক, স্বাভাবিক আকৃতি, স্বাভাবিক অণ্ডকোষই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে উঠে এসেছে।ফ্যাশন ম্যাগাজিন কসমোপলিটানের এক জরিপে অংশ নিয়েছেন ১১ শ পাঠক যার অধিকাংশই নারী।
এ জরিপে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যে নারীর বয়স এবং সহবাস আকাঙ্ক্ষা যত বেশি, তার কাছে সঙ্গীর পুরুষাঙ্গের আকার তত কম গুরুত্বপূর্ণ। মূলত অভিজ্ঞতাই তাদের এ সত্য উপলব্ধিতে সাহায্য করেছে।পুরুষাঙ্গের আকার সম্পর্কে যেসব ভ্রান্ত ধারণা দেখা যায় তাদের অধিকাংশেরই মুলে রয়েছে পুরুষাঙ্গের দুটি স্বাভাবিক অবস্থা।
প্রথমটি হল শিথিল অনুত্থিত লিঙ্গ, এবং দ্বিতীয়টি হল উত্থিত লিঙ্গ। সহবাস বাসনা চালিত হলে লিঙ্গের উপরিভাগ বরাবর দুটি ‘কর্পাস ক্যানভারনোসার’ মৌচাক সদৃশ্য ফাঁপা টিস্যু বা কলা এবং লিঙ্গের নিম্ম ভাগে অবস্থিত কর্পাস স্পঞ্জিয়োসাম—এর থলথলে টিস্যু যখন রক্তে ভরে ওঠে তখনই পুংলিঙ্গ বা পুরুষাঙ্গের ইরেকশান অর্থাৎ উত্থান হয়।
শিথিল অবস্থায় পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য তিন থেকে সাড়ে তিন ইঞ্চি হয়ে থাকে। উত্থিত অবস্থায় পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য আরও দুই থেকে চার ইঞ্চি বেড়ে যায়। কিন্তু যেসব পুরুষাঙ্গ আকারে ক্ষুদ্র সেগুলো শিথিল অবস্থায় স্বাভাবিক পুরুষাঙ্গের তুলনায় অনেক বেড়ে যায় এবং তা দৈর্ঘ্য দ্বিগুণও হয়ে থাকে।
শিথিল অবস্থায় যেসব পুরুষাঙ্গের আকার উত্থিত অবস্থায় চাইতে বড় হয় (তিন থেকে চার ইঞ্চি দৈর্ঘ্য), উত্থান হলে আনুপাতিকভাবে তাদের বৃদ্ধি হয় অনেক কম ( উত্থিত অবস্থায় দুই বা আড়াই ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়) এইভাবে ছোট ছোট পুরুষাঙ্গের মধ্যে যে পার্থক্য তা সহবাস ক্ষমতা চালনার সঙ্গে হ্রাস পায়।
উত্থিত অবস্থায় পুরুষাঙ্গের গড় মাপ হল সাড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে ছয় ইঞ্চি (মূল থেকে অগ্রভাগ পর্যন্ত)। এমনকি ৩৩ জন পুরুষ সার্জারির মাধ্যমে পুরুষাঙ্গে আকার ছোট করে নিয়েছেন বলেই এ গবেষণায় উঠে এসেছে।
অতএব দেখা যাচ্ছে যে, ওপরে বর্ণিত এইসব তথ্য সেই অলীক ও ভ্রান্ত বিশ্বাসকে খন্ডন করতে সমর্থ, যে পুরুষের লিঙ্গের আকার যত বড় হয় সে তার শয্যাসঙ্গিনীকে সহবাসকালে ততই অধিক পরিমাণে পরিতৃপ্তি প্রদানে সমর্থ হবে।
আকারে অস্বাভাবিক দীর্ঘ পুরুষাঙ্গও সহবাসকালে যেকোন নারীর পক্ষে যন্ত্রাণার কারণ হতে পারে, অবশ্য সেই নারী যদি এই যন্ত্রাণাকে হাসিমুখে গ্রহণ করে ত সে ক্ষেত্রে বলার কিছু নেই। তাঁকে আনন্দ ও বেদনার এক মিশ্র অনুভূতি হিসেবে বর্ণনা করা চলে ।এক্ষেত্রে নারীর উরু ওপরে ওঠালে অথবা তার পিঠ ও কোমরের মাঝামাঝি জায়গায় একটি বালিশ রাখলে তা উভয়ের পক্ষেই সুবিধাজনক হবে।
যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন খাবার বড়ি, ক্রিম, লকিং মেশিন এবং অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে পুরুষরা তাদের লিঙ্গের আকার পরিবর্তনের চেষ্টা করে আসছে । আর প্রায় একশত বছরের বেশি সময় ধরে এর জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা অথবা চেষ্টা করেও লিঙ্গের আকার পরিবর্তনে তেমন একটা ভাল ফলাফল/আবিষ্কার এখন পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি । কারণ সত্যিকার অর্থে খাবার বড়ি, ক্রিম, লকিং মেশিন ইত্যাদির কোনটিই কার্যকর হয়না। বরং এ রকম চেষ্টার ফলে অনেক পুরুষই লিঙ্গত্থান সমস্যাসহ নানাবিধ সহবাস জটিলতায় পতিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত ।
প্রায় অর্ধেক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ মনে করেন তাদের পুরষাঙ্গ অনেক ছোট । বিশ্বজুড়ে সাধারনত উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে ৪.৭ থেকে ৬.৩ ইঞ্চি। অনেকের মতে পেনিসের গড় দৈর্ঘ্য ৫.১-৫.৯ ইঞ্চি। তবে লিঙ্গের আকার ব্যাক্তি এবং অঞ্চলভেদে অনেক পার্থক্য দেখা যায়।
বিরল ক্ষেত্রে পারিবারিক (জেনেটিক) এবং হরমোন জনিত সমস্যার কারনে ৩ ইঞ্চির চেয়েও অনেক ছোট লিঙ্গ দেখা যায়। চিকিত্সা শাস্ত্রে এটি মাইক্রোপেনিস নামে পরিচিত। তবে পেনিস ৪ (চার) ইঞ্চি হলেই স্ত্রীকে অর্গাজন দিতে কোনো প্রকার অসুবিধা হওয়ার কথা নয় । অনেকের ক্ষেত্রে প্রোষ্টেইট ক্যান্সার অপারেশান সহ নানা রোগের কারনে লিঙ্গের আকার ছোট হয়ে যেতে পারে।
একটা বিষয় চিন্তা করুন, বাংলাদেশের বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলি বসে বসে কি করছেন। তারা কেন পেনিস বড় করার ঔষধ তৈরী করেন না? দেশের বড় বড় খ্যাতনামা সহবাস বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা কেন তাদের রোগীদের জন্য প্রেসক্রিপসনে এইসব ঔষধের নাম লিখেন না?
এর কারণ লিঙ্গ বড় করার মত কোনো ওষুধের ফর্মূলা এখনও আবিষ্কার হয়নি। যদি আসলেই স্বাভাবিক পেনিস লম্বা বা মোটা করার কোন ঔষধ থাকত তাহলে অবশ্যই তার সরকারী অনুমোদন থাকত আর সেটি আপনি আপনার পাশের ঔষধের দোকান থেকেই কিনতে পারতেন ।
পেনিসের আকার কতটা হওয়া দরকার ?
প্রায় অর্ধেক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ মনে করেন তাদের পুরষাঙ্গ অনেক ছোট । বিশ্বজুড়ে সাধারনত উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে ৪.৭ থেকে ৬.৩ ইঞ্চি। অনেকের মতে পেনিসের গড় দৈর্ঘ্য ৫.১-৫.৯ ইঞ্চি। তবে লিঙ্গের আকার ব্যাক্তি এবং অঞ্চলভেদে অনেক পার্থক্য দেখা যায়।
বিরল ক্ষেত্রে পারিবারিক (জেনেটিক) এবং হরমোন জনিত সমস্যার কারনে ৩ ইঞ্চির চেয়েও অনেক ছোট লিঙ্গ দেখা যায়। চিকিত্সা শাস্ত্রে এটি মাইক্রোপেনিস নামে পরিচিত। তবে পেনিস ৪ (চার) ইঞ্চি হলেই স্ত্রীকে অর্গাজম দিতে কোনো প্রকার অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অনেকের ক্ষেত্রে প্রোষ্টেইট ক্যান্সার অপারেশান সহ নানা রোগের কারনে লিঙ্গের আকার ছোট হয়ে যেতে পারে।
হস্তমৈথুন এবং লিঙ্গের আকার
অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় দীর্ঘদিন হস্তমৈথুন করার কারণে লিঙ্গের আকার কিছুটা পরিবর্তন হয়ে যায় এবং পেনিসে কিছুটা বক্রতাও সৃষ্টি হয় এর কারণে। কিন্তু তথা কথিত বিশেষজ্ঞরা হস্তমৈথুন করাকে ক্ষতিকর বলার বিপক্ষে, কিন্তু আমাদের দেশের পরিস্থিতিটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেহেতু ধর্মীয় বিধি নিষেধ আছে, যেমন ইসলামে হস্তমৈথুন করা কবিরা গোনাহ, তাই এটা করলে মানুষের মনে পাপ বোধ জন্মাবে এটাই নিয়ম, তার সাথে সাথে নানা মানুষিক বিপর্যয় দেখা দিবে এটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়, তাই হস্তমৈথুনও সহবাস সমস্যার কারণ হয়ে থাকে। তাই হস্তমৈথুন না করাই অতি উত্তম।
তবে লিঙ্গ প্রাকৃতিক ভাবে ছোট বা বড় হয়ে যেতে পারেনা। এটি শুধু উত্তেজনার সময় পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে আকার পরিবর্তন করে। দীর্ঘদিন হস্তমৈথুন (এটা অপ্রাকৃতিক এবং কবিরা গুনাহ ) করার কারণে বার বার একই জায়গায় অতিরিক্ত প্রেসারের ফলে অনেকের ক্ষেত্রে পেনিসের আকার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
তবে হস্তমৈথুন অভ্যাস এবং এ সংক্রন্ত যাবতীয় কুফল দূর করার সফল চিকিত্সা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। যেটা সহবাস ক্ষমতার কোনো ক্ষতি করে না বরং উল্টো আরো সহবাস শক্তি বাড়িয়ে থাকে। কিন্তু মন থেকে হস্তমৈথুন করার চিন্তাটাই দূর হয়ে যায়। হোমিও ঔষধ যে কোন রোগের কারণটাকে মূল থেকে দূর করে ফেলে। তবে তার জন্য দরকার অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তার এবং যথাযথ ট্রিটমেন্ট।
অনেক পুরুষ কিংবা নারী পর্ন ফিল্ম দেখে লিঙ্গের আকার এবং মিলেনের সময় নিয়ে নিজের মধ্যে একপ্রকার নেগেটিভ ধারনা করে রাখে। সত্যিকার অর্থে ছবিতে নায়ক তারাই হয় যারা অন্যদের তুলনায় হ্যান্ডসাম হয়। পর্নষ্টারও তার ব্যতিক্রম নয় । পর্নগ্রাফিতে ক্যামেরা এমন এঙ্গেল এ ধরা হয় যাতে ভিজ্যুয়ালী লিঙ্গকে বড় দেখা যায়।
উদাহরন স্বরুপ আপনি যদি কোন একটি উচু স্থানে থেকে নিচে দাড়ানো আপনার কোন বন্ধুর ছবি তোলেন তাহলে তাকে খাটো দেখাবে। তেমনি যদি আপিনি মাটিতে বসে কিছুটা উপরে দাড়ানে অবস্থায় আপনার বন্ধুর ছবি তোলেন তাহলে একই ব্যাক্তিকে অনেক লম্বা দেখাবে। আর সে জন্যই আমরা যখন মাথা নিচু করে আমাদের নিজের লিঙ্গ দেখতে যাই তখন ভিজ্যুয়াল ইল্যুশানের কারনে আমাদের লিঙ্গের আকার প্রকৃত আকারের চেয়ে ছোট দেখা যায়।
এখানে এ বিষয়টি বলে রাখতে চাই পর্ন ফিল্মে দেখা যায় একই যুগল ২০/২৫ মিনিট মিলন করছে। সত্যিকার অর্থে তাদের এই ২০ মিনিট এর মিলন দৃশ্যের শুটিং হয়েছে ২/৩ দিন ধরে। তাদের অনেকবারের মিলনের দৃষ্টিনন্দন অংশগুলো ভিডিও এ্যাডিটে কাট-ছাট করে একটি ক্লিপ বাজারে আসে। তাই পর্ন ফিল্ম দেখে পেনিসের আকার এবং মিলনের সময় নিয়ে আমাদের হতাশ হবার অবকাশ নেই।
কারণ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ওই সব দেশের বেশির ভাগ পুরুষরই ২-৩ মিনিটের বেশি মিলন করতে পারে না। এটা হলো তাদের বাস্তব চিত্র।সহবাস তৃপ্তির জন্য লিঙ্গের আকার মুল বিষয় নয়। প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে মিলনে এবং সিঙারে আপনার কারুময়তা। আপনি যত বেশি সৃষ্টিশীল পদ্ধতিতে স্ত্রীকে “অন” করবেন সে তত বেশি আপনার পার্সোনালিটির প্রতি আবেগী হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন