Breaking

শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

লিফট ছিঁড়ে গেলে বাঁচার উপায়


দুর্ভাগ্যবশত এই পৃথিবীতে কেউই দুর্ঘটনার হাত থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। যে কারণে আমাদের নিজেদেরই আগে খুঁজে বের করতে হবে,  দুর্ঘটনায় পতিত হলে প্রাণে বাঁচতে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারলে জীবন বেঁচেও যেতে পারে কিংবা কম আহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

লিফট দুর্ঘটনার কথা বলা যেতে পারে। লিফট ছিঁড়ে নিচে পড়ে যাওয়ার মতো ভয়ংকর দুর্ঘটনার ঘটতে পারে যে কোনো সময়। যদিও লিফট ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা খুব বেশি ঘটে না, কিন্তু একেবারেই যে ঘটে না বা ঘটবে না তা কিন্তু নয়। তাই জেনে রাখা ভালো, লিফট ছিঁড়ে নিচে পড়ে যেতে থাকলে কীভাবে বাঁচাবেন নিজেকে।

লাফ দেবেন না
প্রথমত আপনি যখন ফ্রি স্টাইলে নিচে পড়ে যেতে থাকবেন, তখন লাফ দেওয়ার চেষ্টা করাটা খুবই কঠিন। দ্বিতীয়ত লাফালাফি করলে লিফট আরো বেশি গতিতে আছড়ে পড়বে। তৃতীয়ত আপনার শরীরের কোন অংশ পতিত হবে তা এর মাধ্যমে আগেভাগে নির্ধারণ করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। বরং লাফের কারণে আপনি মাথায় আঘাত পেতে পারেন এবং খুব খারাপভাবে আপনার শরীর আছড়ে পড়তে পারে।

সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন না
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটা খুব ভালো ধারণা নয়। কারণ পতনের সময় শরীরের ওজনের ১০ গুণ ওজন এসে ভর করে পায়ে। যা খুবই গুরুতর জখম হওয়ার কারণ হতে পারে।

সবচেয়ে নিরাপদ কৌশল
মাস্যাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারের গবেষক ইলিয়ট এইচ ফ্রাঙ্কের মতে, লিফট যখন পড়ে যেতে থাকবে তখন যত দ্রুত সম্ভব চিৎ হয়ে দুই হাত ও পা ছড়িয়ে লিফটের মেঝেতে শুয়ে পড়া একমাত্র নিরাপদ কৌশল।

এতে আপনার শরীরের সেরা অংশগুলোতে শক্তি ছড়িয়ে পড়বে। এবং এর ফলে শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংশে অন্য কোনো অংশের তুলনায় বেশি ওজন বিরাজ করবে না। নিচে পড়ার আঘাত শরীরের সব অংশে সমানভাবে ছড়ে যাবে বলে ভারসাম্য রক্ষা করে শরীরের নির্দিষ্ট কোনো অংশে কম আঘাত লাগবে। তবে সত্যিকার অর্থে এটা বাঁচার একটা চেষ্টা করা মাত্র, জখম তো হতেই পারে, তবে গুরুতর জখম থেকে রক্ষা পাওয়ার সেরা একটা চেষ্টা হচ্ছে এই কৌশল অবলম্বন করা।

লিফটে বেশি মানুষ থাকলে করণীয়
এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভালো যেটা করতে পারেন তা হচ্ছে, লিফটের মেঝেতে বসে পড়া। আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে অস্থিতে যে পরিমাণ চাপ পড়তো তার তুলনায় অস্থিতে কম চাপ পড়বে এ পজিশনে। যদি বসে পড়ার মতো জায়গা না থাকে, তাহলে অন্তত চেষ্টা করুন হাঁটু বাঁকা করে রাখতে, এটিও পায়ের বল কমাতে কিছুটা সাহায্য করবে।