প্রেমে পড়া সহজ, তবে তা টিকিয়ে রাখা কঠিন। কেবল ভালবাসার উপর ভিত্তি করে যদি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে একটু নয় অনেকটাই ভুল করছেন। কারণ একটা সম্পর্ক, বিশেষ করে অনাত্মীয়র সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্কের আরও অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেদিকে খেয়াল রাখতেই হয়। নইলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অতি গভীর ভালবাসার সম্পর্কেও মরচে ধরে। আর সম্পর্কের শীতলতার সুযোগে দূরত্বের চারাগাছটি অল্প সময়েই মহীরুহ হয়ে ওঠে। যেমন-
১) দোষ আর গুণ এই দুই স্বভাব নিয়েই মানুষ জন্মায়। একটি মানুষের মধ্যে তাই ভালর পাশাপাশি খারাপটিও অবস্থান করে। তাতে আপনি কতটা ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারছেন অথবা পারবেন তা ভাবা দরকার।
২) একে অন্যের ভাবনাকে মূল্য দেওয়া উচিত। যেমন ধরুন, আপনি চটজলদি বিশ্বাস করে নিতে পারেন। কিন্তু আপনার সঙ্গী বিশ্বাস করতে একটু সময় নেন। হয়তো তাঁর অতীতের অভিজ্ঞতা তাঁকে অত তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করতে বাধা দেয়। ভালবাসেন মানেই ভাবনা এক হতে হবে এমন তো কোনও কথা নেই। অতএব আপনার ভাবনার যেমন মূল্য রয়েছে, তাঁর ভাবনারও রয়েছে।
৩) খুব ভাল অথবা খুব খারাপ খবর শুনলে আপনার কার কথা সকলের আগে মনে পড়ে? একটু ভেবে দেখুন। কারণ যে মানুষটা আপনার মনের সবচেয়ে কাছের সে আপনার ভাল ও মন্দ সময়ে পাশে থাকছে কি না, তা জানাটা ভীষণ জরুরি।
৪) জীবনে বাধাবিপত্তি যতই আসুন হাসিমুখে থাকতে পারাটাই বড় ব্যাপার। সম্পর্কেও একটু হাস্যরস থাকা ভাল। হ্যাঁ, সকলের রসবোধ সমান নয়। আর আপনার সঙ্গীর মধ্যে তা যদি খুব বেশি নাও থাকে চলতে পারে। তবে আপনার মুখের হাসিটি যেন ছোঁয়াচে রোগের মতো তাঁর ঠোঁটেও ছড়িয়ে যায়।
৫) ঝগড়া কোন সম্পর্কে হয় না? তবে সে ঝগড়া সম্পর্ককে তিক্ত করে দিচ্ছে কি না সে খেয়াল রাখাটা খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ ঝগড়ার ইতি সুখকর না হওয়া সম্পর্কের পক্ষে হানিকারক।
৬) ভুল মানুষ মাত্রেই হতে পারে। তাকে ক্ষমা করে এগিয়ে যেতে পারাটাই বড় ব্যাপার। আপনি যদি ক্ষমা না করতে পারেন, তাহলে আক্ষেপের আগুন আপনাকে সারাক্ষণ জ্বালাতে থাকবে। ক্ষমা করতে পারলেই নতুন করে শুরু করতে পারবেন।
তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন। জানুন আপনি কাকে ভালবাসছেন? কেনই বা তাঁকে ভালবাসছেন? আগে নিজের মনে নিশ্চিত হোন। তারপরই এগিয়ে যান। মনে রাখবেন, প্রেমই জীবনের পরম সম্পদ। সূত্র: সংবাদপ্রতিদিন