হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩০ জন। বাকী ২ হাজার ৫১৬ জন এখনও কোথায় গেছে বা কী করছে সে হিসেব নেই কারও কাছে
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের হিসেবে গত দুই সপ্তাহে ২ হাজার ৫৪৬ জন প্রবাসী খুলনায় ফিরেছেন। কিন্তু জেলার সিভিল সার্জনের হিসেবে মাত্র ৩০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। বাকী ২ হাজার ৫১৬ জন এখনও কোথায় গেছে বা কী করছে সে হিসেব নেই কারও কাছে! এতে খুলনায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা তীব্র হচ্ছে।
বুধবার (১৮ মার্চ) খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে জেলা টাস্কফোর্সের জরুরি সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশ জানায়, গত ১ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত চীন, ইতালি, ভারত, সিঙ্গাপুর, ওমান, সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে খুলনায় ফিরেছেন ২ হাজার ৫৪৬ জন। আর ৭ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত এসেছেন ১ হাজার ১০০ জন।
সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যারা এসেছেন তাদের বেশিরভাগ ভারত থেকে ফিরেছেন। ইমিগ্রেশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা নিজ নিজ গন্তব্যে চলে গেছেন। তাদের অনেকেই পরিবার-পরিজন ও বন্ধু বান্ধবদের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, ৬ মার্চের পর থেকে বিদেশফেরতদের যারা খুলনায় ফিরেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “বিদেশ ফেরতদের তথ্য সংগ্রহ ও বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে প্রশাসনকে ভূমিকা নিতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ পর্যবেক্ষণে থাকা ব্যক্তিদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা দেবে।”
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, “বিদেশফেরত ব্যক্তিদের কার্যকর হোম কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করতে না পারলে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। কোয়ারেনটাইনের নিদের্শনাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জনবহুল স্থানে বিচরণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাড়িতে কোয়ারেনটাইনের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকলে সরকারিভাবে স্থাপিত কোয়ারেনটাইন স্থাপনায় আশ্রয় নিতে হবে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন