বাংলাদেশে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে এক চেটিয়া বাংলা সিনেমায় দাপুটে অভিনয় করে গেছেন যিনি, তিনি দিলদার। পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই দম ফাটানো হাসির রোল। দর্শক পর্দায় তার অঙ্গভঙ্গি দেখে হেসে গড়াগড়ি খেতো। মুহূর্তে কাঁদিয়েও ফেলতে পারতেন এই জাত অভিনেতা; চরিত্রের এই বৈচিত্রময়তাও প্রবল ছিল এই গুণী অভিনেতার মধ্যে। আজ ১৩ জুলাই তার প্রয়ান দিবস। তার প্রতি শ্রদ্ধা।
দেশ স্বাধীনের পরের বছরেই ‘কেন এমন হয়’ সিনেমায় অভিষেক হয় কৌতুক অভিনেতা দিলদারের। এরপর থেকে অসংখ্য সিনেমায় তার উপস্থিতি ঘটেছে। বিশেষ করে আশি ও নব্বইযের দশকের বাংলা সিনেমায় কৌতুক অভিনেতা মানেই দিলদার। অঘোষিতভাবে তিনি বাংলা কমেডির রাজপুত্র বনে গেয়েছিলেন।
কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দিলদার জনপ্রিয়তার এমন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন যে, তাকে নায়ক করে ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি ছবিও নির্মাণ করা হয়। ওই ছবিতে একজন লোক হাসানো মানুষের খোলস ছেড়ে তিনি হাজির হয়েছিলেন অন্যরূপে। ছবিতে দর্শক তার অভিনয় দেখে যেমন মুগ্ধ হয়েছেন, তেমনি চরিত্রের বৈচিত্রও দেখিয়েছেন অভিনেতা দিলদার।
দিলদারের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে বেদের মেয়ে জোসনা, অন্তরে অন্তরে, বিক্ষোভ, কন্যাদান, চাওয়া থেকে পাওয়া, জীবন সংসার, স্বপ্নের নায়ক, আনন্দ অশ্রু, শান্ত কেন মাস্তান, প্রিয়জন, বিচার হবে এবং বীরপুরুষসহ অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘তুমি শুধু আমার’ নামের একটি চলচ্চিত্রের জন্য ২০০৩ সালে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেন তিনি।
১৯৪৫ সালে চাঁদপুরে জন্ম নেয়া এই গুণী অভিনেতা মাত্র ৫৮ বছর বয়সে ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই মৃত্যু বরণ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন