তরকারীতে স্বাদ বাড়াতে রসুন খুব পরিচিত একটি নাম। রান্নার কাজে নানাভাবে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে সুদূর অতীত থেকে। শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতে নয় প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী রসুনে আছে ক্যালরি ১৪৯ কিলো, ফ্যাট ০.৫ গ্রাম, কোলেস্টরেল ০ গ্রাম, সোডিয়াম ১৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৪০১ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৩৩.০৬ গ্রাম, খাদ্যা আঁশ ২.১ গ্রাম, চিনি ১ গ্রাম, ভিটামিন ৬.৩৬ গ্রাম। এসব উপাদান আপনার শরীরকে নানা ধরনের রোগব্যাধি থেকে রক্ষা করে। আসুন জেনে নেয়া যাক সেসব সম্পর্কে।
* রসুন লাইপোপ্রোটিনের অক্সিডেশান কমায়। শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টরেল কমিয়ে দেয়, বাড়িয়ে দেয় উপকারী কোলেস্টরলের পরিমাণ।
* রসুনের এলিসিন নামক উপাদানটি রক্তনালীর অভ্যন্তরে অণুচক্রিকার জমাটবদ্ধতা প্রতিহত করে।
* উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : রসুন রক্তনালীকে প্রশস্ত করে রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখে। এতে দেহের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* উষ্ণ গরম দুধের সঙ্গে আধা কোয়া রসুন বাটা খেলে শুক্রানু বৃদ্ধি পায়। হাঁড়ের ক্ষয় হ্রাস পায়।
* হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ ও হার্ট এ্যাটাক প্রতিরোধে রসুন এক অসাধারণ ভেষজ।
* পাকস্থলী ও মলাশয়ের ক্যানসার প্রতিরোধে রসুন খুবই কার্যকর। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কোয়া করে রসুন খেলে পাকস্থলীর ক্যানসার ও মলাশয়ের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি যথাক্রমে ৪৭% ও ৪০% কমে যায়।
* হেলিকোব্যাকটর পাইলরি নামক এক প্রকার গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে আমাদের অন্ত্রে গ্যাস্ট্রাইটিস ও পেপটিক আলসারের সৃষ্টি হয়। রসুনে থাকা ডাই এলাইল সালফাইড ও ডাই এলাইল ডাই সালফাইড এই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে খুবই উপকারী।
* রসুন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি প্রতিরোধী ক্ষমতা সম্পন্ন। রসুন যেসব জীবাণু এন্টিবায়োটিক র্যাজিস্ট্যান্ট (প্রতিরোধক্ষম) হয়ে গেছে সেসব জীবাণু ধ্বংসে রসুন খুবই কার্যকর।
* দীর্ঘদিনের জ্বর হলে ৫ থেকে ৭ ফোঁটা রসুনের রসের সঙ্গে আধা কাপ গাওয়া ঘি মিশিয়ে খেলে ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই জ্বর কমে যাবে।
* দেহের ওজন বিনা কারণেই কমে যেতে থাকলে আধা কোয়া রসুন বেটে আধা গ্লাস দুধের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে দেহের ক্ষয় রোধ হয়ে কাঙ্ক্ষিত ওজন বাড়তে শুরু করবে।
* গাওয়া ঘিয়ের সঙ্গে আধা কোয়া রসুন বাটা অথবা ৫ থেকে ৭ ফোঁটা রস মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।
* শরীরের ক্ষত দ্রুত সারাতে রসুন বাটা লাগালে উপকার পাবেন সহজেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন