Breaking

মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০১৫

প্রতিদিনের সহজ ৬ টি অভ্যাসে সবসময়ের জন্য দূরে রাখুন মুখের দুর্গন্ধ সমস্যা

মুখের দুর্গন্ধ অনেক বিব্রতকর একটি সমস্যা। নানা কারণেই হতে পারে মুখের দুর্গন্ধ। এমনকি নিয়মিত দাঁত ব্রাশ, ফ্লস করার পরও মুখের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। কারণ মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা শুধুমাত্র ব্রাশের কারণে হয় না। শারীরিক নানা অসুস্থতা, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের নানা কারণেই মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে দৈনন্দিন কাজের কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যা একেবারে দূর করে দিতে পারেন বেশ সহজেই। সবসময়ের জন্য নিঃশ্বাসের তরতাজা ভাব ধরে রাখতে এই অভ্যাসগুলো করে নিন আজ থেকেই।

১) খাবারের দিকে নজর দিন
কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া এবং শাক সবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার কম খাওয়ার ফলে অনেক সময় মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে থাকে। কার্বোহাইড্রেটের বাই প্রোডাক্ট কিটোন মূলত এই দুর্গন্ধের জন্য দায়ী থাকে। তাই খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিন।

২) ব্রাশ ও ফ্লস করুন প্রতিদিন
অনেকেই দিনে দুবার ব্রাশ করেন না আবার ব্রাশ ঠিকমতো করলেও ফ্লস করেন না, এই কাজটি করবেন না। নিয়মিত দুবার প্রতিদিন ব্রাশ ও ফ্লস করে নিন। সেই সাথে জিহ্বাও পরিষ্কার রাখুন। এতে করে মুখে দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারবে না।

৩) প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
আমাদের মুখের ভেতরের অংশ যতোটা শুকনো থাকবে ততোই মুখের ভেতরে ব্যাকটেরিয়ায় জন্ম হতে থাকে। আমাদের মুখের স্যালিভা এই ব্যাকটেরিয়া ও মুখের দুর্গন্ধ দুটোই দূর রাখে। আর দেহ হাইড্রেট থাকলে স্যালিভার উৎপাদন সঠিক ভাবেই হবে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পানের অভ্যাস রাখুন।

৪) চা/কফির পরিমাণ কমিয়ে দিন
চা/কফি দেহকে পানিশূন্য করে ফেলে এছাড়াও চা/কফির অ্যাসিডিক উপাদান মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী থাকে। তাই চা/কফি পরিমাণ কমিয়ে দিন। এর পরিবর্তে চিনি বিহীন সুস্বাদু সবজি ও ফলমূলের জুস পানের অভ্যাস করুন।

৫) ধূমপান বন্ধ করুন
মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান করা। প্রায় প্রতিটি ধূমপায়ীরাই এই সমস্যায় ভুগে থাকে। ধূমপানের ফলে স্যালিভার উৎপাদন কমে যায়। এতে করে মুখে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে থাকে যা দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে।

৬) নিয়মিত চেকআপ করান
অনেক সময় মাড়ির ইনফেকশন এবং দাঁতের সমস্যার কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। তাই যদি সাধারণ কোনো কারণে দুর্গন্ধ না হয় তাহলে অবশ্যই ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন দাঁত ও মাড়ির।
সূত্রঃ হেলথ ডাইজেস্ট

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন