Breaking

বুধবার, ২৭ মে, ২০১৫

ওসামা বিন লাদেনের জীবনী

ওসামা বিন লাদেন সেীদি আরবের রিয়াদে ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা মোহাম্মদ বিন লাদেন একজন বড় ব্যাবসায়ী ছিলেন। তার জন্মের কিছু দিন পরই তার বাবা মায়ের মধ্যে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। ওসামা বিন লাদেন ইকোনমিক্স এবং ব্যাবসায় প্রসাশনের উপর পড়াশুনা করেন কিংন্স আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে তিনি কৃতিত্বের সাথে পাশ করে ইন্জিনিয়ারং এর উপর পড়াশুনা করেন কিন্তুু ৩ য় বছরে তিনি পড়াশুনা বাদ দিয়ে ইসলাম ধর্মের উপর গবেষনা করেন এবং লেখালিখি শুরু করেন। 


১৭ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন তার দীর্ঘ জীবনে তিনি ৪ টি বিয়ে করে এবং তার ২৬ সন্তানের বাবা তিনি। ওসামা বিন লাদেন বিশ্বাস করেন শরিয়া ভিত্তিক ইসলাম ধর্ম।মুহম্মদ আওয়াদ বিন লাদেন এর উত্থান চমকপ্রদ। অতি সাধারণ অবস্থা থেকে কোটি কোটিপতি হয়ে ওঠেন ঠিকাদারি সাম্রাজ্যের অধীশ্বর বিন লাদেন। সৌদি আরবের রাজ পরিবারেরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। সুদানে নির্মাণ এবং কৃষি প্রকল্পে বিশাল টাকা লগ্নি করলেন তিনি। আল কুদস আল আরবির প্রধান সম্পাদক আবদেল বারি আটওয়ানকে ওসামা বলেছেন, সুদানে তার দুশো মিলিয়ন ডলার লগ্নি করা ছিল। অকৃতজ্ঞ সুদান সরকার কিছুই প্রায় তার ফেরত দেয়নি। তিনি বিশ্বাস করেন ধর্ম, শরীয়া এবং গনতন্ত্র। ওসামা বিন লাদেন মনে করেন আভগানাস্তিান হল পৃথিবীতে এমন একটা দেশ যা এক মাত্র মুসলিম দেশ।আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী এই পরিচয় লাভের আগে পর্যন্ত ওসামা বিন লাদেন ছিলেন আমেরিকারই ঘনিষ্ঠ মিত্র। আফগানিস্থানে রুশ বাহিনীকে মোকাবিলার জন্য তাকে প্রয়োজন ছিল মার্কিনীদের। তারাই প্রশিক্ষণ দিয়ে, সমর্থন দিয়ে তৈরি করে তাকে। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর মার্কিনীদের যাবতীয় হিসাব নিকাশের ছক যায় পাল্টে। মিত্র লাদেন পরিণত হন শক্রতে । 

লাদেন তার শক্র মোকাবিলায় বেছে নেন সন্ত্রাসের পথ। তিনি মনে ইসলাম ভিত্তিক দেশ সমস্ত মিডিল ইষ্ট আমিরিকার প্ররোচনায় আজ মুসলিম দেশ গুলোতে অন্যায়, নারীদের পর্দা , হোমো সেক্স, একে অপরের শত্র“তে পরিনিত হয়েছে। তিনি ইসলামের শত্র“দের উপর যুদ্ধ ঘোষনা করেন। ইসলামের শত্র“দের জন্য তিনি আল-কায়দা প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে সারা পৃথিবীতে বিশেষ করে আমেরিকার কাছে একটা অতঙ্ক। ওসামা বিন লাদেন টেকনোলজী প্রিয় মানুষ তাই তিনি তার সংঘটনে সব সময় মেধাবীদের জায়গা করে দেন। 

তিনি মনে করেন বর্তমান যুগে টিকে থাকতে হলে মেসিনারী এবং টেকনোলজীতে এগিয়ে যেতে হবে। ওসামা বিন লাদেন কিং ফাহাদ এবং আরো অরব নেতাদের সাথে দেখা করেছেণ এবং তাদেরকে নন মুসলিম বিশেষ করে আমেরিকানদের কোন সাহায্য না নিতে এবং না করতে। আফগান যুদ্ধ চলাকালীন অন্তত চল্লিশবার গোলাবর্ষণের মধ্য থেকে বেরিয়ে এসেছেন ওসামা। একবার তার কুড়ি গজের মধ্যে একটা স্কাড মিসাইল ফেটেছিল। একবার বিষাক্ত গ্যাস আক্রমণে প্রায় মারা পড়েছিলেন ওসামা। এখনও যার ফলে মাঝে মাঝে গলার ব্যথায় ভুগতে হয় তাকে। একবার কান্দাহারের ঘাটি থেকে খোশতের দিকে রওনা দেন ওসামা। কান্দাহারের পাচকদের মধ্যের এক চর সিআইএকে খবর দেয়। যে সময় ওসামার খোশতে থাকার কথা, সেখানে বিমান হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। কিন্তু ওসামা, কেউ জানে না কেন হঠাৎ পথ পরিবর্তন করে কাবুল চলে যাওয়ায় বেঁচে যান। আর ২০০১ এর সেপ্টেম্বরে টুইন টাওয়ারের পতনের পর এক বিধ্বংসী বিমান আক্রমণ হয় তোরা বোরায় বা ঈগলের গুহা নামে খ্যাত আফগানিস্থানের পাহাড়ি ডেরায়। সেবারও অল্পের জন্য বেঁচে যান ওসামা। কিন্তু এক্ষেত্রে সম্ভবত তাকে খবর দিয়েছিল পাকিস্থানের আইএসআই-এর কোনও বন্ধু। পরের জানুয়ারিতে যখন আলজাজিরার পর্দায় দেখা যায় তাকে তখন তার বাঁ কাঁধটা ব্যান্ডেজ থাকার দরুন ডান কাঁধের থেকে উচু দেখায় এবং বাঁ হাতি হওয়া সত্তে¡ও দেখা যায় বাঁ দিকটা তিনি একদম নাড়ছেন না। পরে ওই বছরই আর একটি টেলিভিশন সম্প্রচারে দেখা যায় ইচ্ছে করেই বাঁ হাত নাড়িয়ে জানিয়ে দিচ্ছেন ওসামা, তিনি সেরে উঠেছেন। বাঁ কাঁধে গোলার টুকরো লেগেছিল তার। খুব সম্ভবত জওয়াহিরি, যিনি একজন পাস করা শল্যচিকিত্সক, টুকরোটা বের করেছিলেন। বর্তমানে তিনি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে যদ্ধ করে যাচ্ছেন। তার বাহিনী সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে যা কিনা আজ একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে নাম করে নিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন